মে দিবসের নমুনা বক্তব্য ও কিছু কথা

Spread the love

সামনে মে দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান, কিন্তু মে দিবসের বক্তব্য কীভাবে দিতে হয় জানেন না?
এই পোস্টে আপনি মে দিবসের বক্তব্য সম্পর্কে আপডেট ও সুন্দর একটি নমুনা বক্তব্য জানতে পারবেন। চলুন, দেরি না করে এখনই শুরু করা যাক।

মে দিবসের নিয়ে বক্তব্য

আজ মহান শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি, প্রিয় এলাকাবাসী, সংগ্রামী বন্ধুরা, সম্মানিত উপস্থিতি ও মঞ্চের সামনে উপবিষ্ট সুধীমণ্ডলী; সবার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

আপনারা জানেন আজ মহান শ্রমিক দিবস। শ্রমিক দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবগত আছেন। নতুন করে আমি আর এ বিষয়ে কি বলবো।

একটা কথাই বলতে চাই আমরা শ্রমিক এবং মালিক সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা চাইনা শ্রমিক এবং মালিক এর মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকুক।

বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান জানাতে আজ পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ‘মে দিবস’। শ্রমিকদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশসহ নানা দেশে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশেই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।

‘মে দিবস’, ‘শ্রমিক দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস-নাম যাই হোক না কেন, এ দিনটি মূলত শ্রমজীবী মানুষের অবদানের স্বীকৃতি ও তাঁদের প্রতি বিশ্বজনীন সংহতির প্রতীক। ১৯০৪ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মরণে পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটির সূচনা ১৮৮৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে। হে মার্কেট স্কয়ারে হাজারো শ্রমিক তখন রাস্তায় নেমেছিলেন ন্যায্য মজুরি ও দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রমঘণ্টার দাবিতে। সেসময় কল-কারখানাগুলোর অমানবিক পরিবেশে শ্রমিকদের গড়ে দিনে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হতো। অবসাদে ক্লান্ত দেহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ আর মানবেতর জীবনযাপনে ধুঁকছিলেন তাঁরা। শিশুশ্রমিকদের অবস্থাও ছিল করুণ-অপুষ্ট ক্লান্ত, অসহায়।

তখনই উঠে আসে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর: শ্রমিকের জীবন যেন শুধু কল-কারখানার যন্ত্র হয়ে না পড়ে, বরং তারা যেন পায় সম্মান, অধিকার ও মানবিকতা।

৮ ঘন্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১লা মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে। প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়।

আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক।

পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর।

এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।

আমি আমার বক্তব্যকে আর বেশী দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছি না। মন থেকে একটাই কামনা পৃথিবী থেকে যেন শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে পার্থক্য আর না থাকে।

প্রত্যেকটা শ্রমিক যেন তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদেরকে প্রত্যেক শ্রমিকের তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মত আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ

উপরের নমুনা বক্তব্য অনুসরণ করে বিদায় অনুষ্ঠান চমৎকার একটি বক্তব্য রাখতে পারেন।

Leave a Comment