লিখেছেন: মো. রাকিবুল হাসান
সাধারণ সম্পাদক, “সহযোগ” সামাজিক সংগঠন
“আমি বিশ্বাস করি, সমাজ গঠনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো ভালো মানুষ। আর ভালো মানুষ গড়ার একমাত্র উপায় – সমাজের জন্য কিছু করে দেখানো।”
মাননীয় সভাপতি,
প্রিয় সদস্যবৃন্দ,
সম্মানিত অতিথিগণ এবং সমাজের সুধীজন,
আসসালামু আলাইকুম।
আজকে এই বিশেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যখন আমি আমার সংগঠন “সহযোগ”-এর পক্ষ থেকে কিছু কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি, তখন আমার মনটা একদিকে গর্বে ভরে যাচ্ছে, আবার অন্যদিকে দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
আমি যখন এই সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিই, তখন আমি একটাই লক্ষ্য সামনে রেখেছিলাম — সমাজের সেই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো, যাদের কণ্ঠ কখনও সমাজের মূলস্রোতে পৌঁছায় না।
🎯 আমাদের লক্ষ্য ও যাত্রা
আমাদের সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণ কিছু ভাবনা নিয়ে—
“একটা বই, এক ফোটা রক্ত, একটুখানি সময় এই দিয়েই তো বদলে দেওয়া যায় একজনের জীবন।”
এই বিশ্বাস থেকে আমরা শুরু করি পথচলা। প্রথমদিকে আমরা কয়েকজন বন্ধুর উদ্যোগে একসাথে হয়ে রক্তদান কর্মসূচি, শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো, এবং পথশিশুদের জন্য পাঠদান কার্যক্রম চালু করি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সদস্য সংখ্যা বাড়ে, পরিসর বাড়ে, কিন্তু সেই শুরুর দিনের স্বপ্নটা একই থেকে যায়।
🛠️ বাস্তব অভিজ্ঞতা: চ্যালেঞ্জ ও সাফল্য
যখনই আমি কোনো পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াই, কোনো শিশুর হাতে নতুন বই তুলে দিই, কিংবা একটি মায়ের চোখে কৃতজ্ঞতার অশ্রু দেখি সেই মুহূর্তগুলোই আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
আমরা গত এক বছরে:
- ৫০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছি,
- ৩টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছি,
- এবং ২টি দুর্যোগকালীন ত্রাণ তৎপরতা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।
এই কাজগুলো শুধুমাত্র আমার বা কমিটির নয় এটা আমাদের সকলের ভালোবাসার ফল।
🔮 ভবিষ্যতের পরিকল্পনা: যাত্রা আরও সামনে
আমরা এখন পরিকল্পনা করছি—
- একটি স্থায়ী কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার গড়ে তোলার,
- নারী উদ্যোক্তা প্রকল্প চালু করার,
- এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা ক্যাম্পেইন পরিচালনার।
আমাদের স্বপ্ন এমন এক সমাজ গড়ে তোলা যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। যেখানে সবাই এগিয়ে যাবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
🤝 আমার ব্যক্তিগত বার্তা: নেতৃত্ব মানে দায়িত্ব নেওয়া
একজন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কাজ শুধুমাত্র নির্দেশ দেওয়া নয় আমি বিশ্বাস করি নেতৃত্ব মানে সবার পাশে দাঁড়ানো, শোনা, শেখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি শিখেছি “মানুষ তখনই বড় হয়, যখন সে অন্যের জন্য কিছু করতে শেখে।”
🙏 কৃতজ্ঞতা ও আহ্বান
আমি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক ভাই-বোনদের প্রতি, দাতা প্রতিষ্ঠান ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের ছাড়া এই পথচলা অসম্পূর্ণ থেকে যেত।
আমার সবার কাছে আহ্বান আসুন, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সম্মিলিত করে একটি বৃহৎ রূপ দিই। সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, এবং আমাদের নিজেদের জন্য।
সংগঠনের স্লোগান: “সহযোগেই শক্তি”
– মো. রাকিবুল হাসান
সাধারণ সম্পাদক, সহযোগ সামাজিক সংগঠন

আমি একটি কোম্পানির পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার হিসাবে কর্মরত আছি। আমার কর্মক্ষেত্রে সরাসরি জনগনের সাথে ডিল করার তাই আমি পাবলিকলি অনেক বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন পরে। তাছাড়াও বক্তব্য দেওয়া ও শোনাকে আমি বেশ উপভোগ করি।