“প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজকের এই সংবর্ধনা তোমাদের পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও স্বপ্নের স্বীকৃতি। শিক্ষক হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ তোমাদের মধ্যে আমি আগামীর নেতৃত্ব দেখতে পাই। এই অর্জন হোক ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখো, নিয়মিত শেখো, এবং সমাজ ও দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যাও। তোমাদের জন্য রইল শুভকামনা ও ভালোবাসা।”
কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নমুনা বক্তব্য
সুপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মহোদয়, সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ, এবং প্রিয় ছাত্রছাত্রীগণ –
আসসালামু আলাইকুম/আদাব/শুভ সকাল।
আজকের এই বিশেষ দিনে, আমি সত্যিই গর্বিত। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি শুধু একজন শিক্ষক নই, আমি সেই মানুষ – যে নিজের চোখে দেখেছে, কীভাবে কিছু ছোট্ট ছোট্ট মুখ আজ বড় হয়ে উঠেছে মেধা, পরিশ্রম আর স্বপ্নের আলোয়।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের এই অর্জন আমাদের স্কুলের, আমাদের শিক্ষকদের, এমনকি তোমাদের পরিবারেরও। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্য হলো – এই অর্জনের মূল কারিগর তোমরা নিজেরা।
আমরা শিক্ষক হিসেবে কেবল দিকনির্দেশনা দিতে পারি, পথ দেখাতে পারি। কিন্তু হাঁটা তো তোমাদেরই কাজ ছিল।
তোমাদের প্রতিদিনের পরিশ্রম, সময়মতো ক্লাসে আসা, প্রশ্ন করা, ভুল করা আর সেগুলো থেকে শেখা—সবকিছু আজ একত্রে এই মঞ্চে নিয়ে এসেছে।
আমি এখনো মনে করতে পারি, ক্লাসে তোমাদের সেই কৌতূহলী চোখগুলো, সেই “স্যার, এটা কেন হয়?” প্রশ্নগুলো।
এই প্রশ্নই প্রমাণ করে – তোমরা কেবল মুখস্থ বিদ্যার মধ্যে আটকে থাকোনি,
বুঝে শিখেছো, আগ্রহ নিয়ে শিখেছো। আর এটাই একজন শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তোমাদের জন্য শুধু পুরস্কার নয়, এটা একটি প্রমাণ—
তোমরা পারো, এবং ভবিষ্যতেও পারবে।
জীবনের পথে সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, অনেক সুযোগ আসবে—
যেখানে এই শেখার অভ্যাস, এই পরিশ্রমের মানসিকতা তোমাদের শক্তি হয়ে পাশে থাকবে।
তোমাদের প্রতি আমার ছোট্ট একটা অনুরোধ থাকবে—
এই অর্জন যেন তোমাদের গন্তব্য না হয়, বরং আরও বড় স্বপ্নের শুরু হয়।
আর এই স্বপ্নে যেন থাকে দায়িত্ববোধ, মানবিকতা এবং দেশপ্রেম।
পরিশেষে, তোমাদের এই সাফল্যে আমি যেমন আনন্দিত, তেমনি আমি তোমাদের ভবিষ্যত নিয়েও আশাবাদী।
এই স্কুল একদিন গর্ব করে বলবে—“ওই ছেলেটা, ওই মেয়েটা আমাদের ছাত্র ছিল।”
এই অনুভূতি একজন শিক্ষকের কাছে যেকোনো পুরস্কারের চেয়ে বড়।
তোমাদের জন্য রইল অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
তোমরা এগিয়ে যাও—আর আমাদের আশীর্বাদ সবসময় তোমাদের সঙ্গে থাকবে।
ধন্যবাদ।
✅ FAQs
✅ বক্তব্য শুরু করা যায় শিক্ষার্থীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরে।
✅ শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রশংসা, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা, শিক্ষার গুরুত্ব, এবং অনুপ্রেরণামূলক বার্তা।
✅ সাধারণত ৩-৫ মিনিটের মধ্যে সংক্ষেপে প্রাঞ্জলভাবে বক্তব্য দেওয়া ভালো।

আমি একটি কোম্পানির পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার হিসাবে কর্মরত আছি। আমার কর্মক্ষেত্রে সরাসরি জনগনের সাথে ডিল করার তাই আমি পাবলিকলি অনেক বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন পরে। তাছাড়াও বক্তব্য দেওয়া ও শোনাকে আমি বেশ উপভোগ করি।