পহেলা বৈশাখ নিয়ে বক্তব্য ও মেসেজ

Spread the love

আসসালামু আলাইকুম আমি আজকে আপনাদের সাথে বাঙ্গলির সেই চির চেনা দিন নিয়ে আলোচনা করব। আজকে এখানে পহেলা বৈশাখৈর বক্তব্য, পহেলা বৈশাখে পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনুচ্ছেদ, পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি আলোচনা করব। তো আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় আসি।

পহেলা বৈশাখ এর বক্তব্য

সম্মানিত সুধী,
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত
আজকের এই অনুষ্ঠানের মাননীয় সভাপতি, উপস্থিত সুধীমন্ডলী এবঙ
আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের সকলকে জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! বর্ষবরণের এই সুন্দর অনুষ্ঠানে আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বাংলা সনের প্রথম দিন হলো পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখ পালিত হয়। এ দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত।

নববর্ষ বাঙালি জাতিকে একত্র করে জাতীয়তাবোধে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি এই নববর্ষকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়। পুরানো বছরকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি।

বাঙালির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে পয়লা বৈশাখ। এই দিনে বাঙালি যেন তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে আরও একটু বেশি জড়িয়ে ধরে। নিজের শিকড়ের আরও কাছাকাছি এদিন আসে বাঙালি সমাজ।

বাঙালি মেয়েরা শাড়ি ও ছেলেরা ধুতি-পাঞ্জাবি বা পাজামা-পাঞ্জাবিতে সেজে বাঙালির ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটান। তার সঙ্গে থাকে বাঙালি খাওয়া-দাওয়া, পরিবার ও বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা। বাংলা গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়।

বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের
মেলবন্ধন সাধিত হয় এই উৎসবে।
সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন
বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে।
সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে
বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাসের শেষ
দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিন
পালিত হয় গাজন উৎসব উপলক্ষ্যে
চড়ক পূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা।
এদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে
আয়োজিত হয় চড়ক মেলা।

পয়লা বৈশাখের দিন প্রতিটি পরিবারে স্নান সেরে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করার রীতি আছে। বাড়িতে বাড়িতে এবং সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে মিষ্টান্ন ভোজন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকাংশই এদিন থেকে হালখাতা শুরু করে।

নতুন বছরের প্রথম দিন এবং বিদায়ী বছরের শেষদিনকে ঘিরে নানা ধরণের আয়োজন ছুঁয়ে যায় সকল বাঙালিকেই। বাঙালির ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থ সামাজিক সংস্কৃতিতে এরকম উৎসব দ্বিতীয়টি নেই। নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত, সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। সকলকে জানাই নববর্ষের প্রীতি ও শুভোচ্ছা!

আরও দেখুন: বাংলায় বক্তব্য শুরু করার নিয়ম: বক্তব্য শুরুতে কি বলতে হয়

শুভ নববর্ষ নতুন ছবি

পহেলা বৈশাখ এর মেসেজ

নতুন হাসি নতুন গান নতুন সকাল নতুন আলো নতুন দিন হোক ভালো দুঃখকে ভুলে যাই নতুনকে স্বাগত জানাই সকলকে জানাই নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা!

মুছে যাক যত গ্লানি, ভেসে যাক ঝরা পাতা নতুন কে কর বরণ, হানাহানি নয় ঐক্যই শপথ সকলকে জানাই নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা!

আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (সকল অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে)

শেষকথা: নববর্ষ নিয়ে কথা থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন। ধন্যবাদ

1 thought on “পহেলা বৈশাখ নিয়ে বক্তব্য ও মেসেজ”

Leave a Comment