মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়, আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু এবং স্নেহের ছোট ভাই ও বোনেরা,
সবাইকে আমার সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আজ এই বিদায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে মনটা একই সাথে আনন্দ ও বিষাদে ছেয়ে আছে। আনন্দ এই কারণে যে, আমরা আমাদের শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সফলভাবে শেষ করতে চলেছি। আর বিষাদ, কারণ আজ থেকে আমাদের এই প্রিয় কলেজ প্রাঙ্গণ, প্রিয় ক্লাসরুম, বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই আড্ডার মুহূর্তগুলো কেবলই স্মৃতি হয়ে যাবে।
মনে পড়ে, কয়েক বছর আগে ভয় ও উত্তেজনা নিয়ে এই কলেজের প্রথম দিনে এসেছিলাম। সবকিছু কত অচেনা ছিল! কিন্তু ধীরে ধীরে এই কলেজের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি ধূলিকণা আমাদের আপন হয়ে ওঠে। শিক্ষকেরা ছিলেন আমাদের বাতিঘরের মতো। তাঁদের স্নেহ, শাসন আর অমূল্য জ্ঞান আমাদের পথ দেখিয়েছে। তাঁরা শুধু আমাদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষাই দেননি, শিখিয়েছেন কীভাবে একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচতে হয়। আমরা তাঁদের কাছে চিরঋণী।
আর বন্ধুদের কথা কী বলবো! তারাই তো ছিল এই যাত্রার সবচেয়ে বড় সঙ্গী। একসাথে ক্লাস করা, নোটস শেয়ার করা, ক্যান্টিনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া, পরীক্ষার আগের রাতে জেগে থাকা—এই সবকিছু ছাড়া কলেজ জীবনটা হয়তো এত রঙিন হতো না। এই বন্ধুত্বগুলো যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অটুট থাকে, এটাই প্রার্থনা।
আজ আমরা এক নতুন জীবনের পথে পা বাড়াচ্ছি। ভবিষ্যৎ হয়তো আমাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষা করছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এই কলেজ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমাদের সেই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
আমাদের কোনো আচরণে বা কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আজ এই বিদায়বেলায় আমি সকলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সবশেষে, জুনিয়রদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। তোমরা তোমাদের সময়টাকে পুরোপুরি কাজে লাগিও, কারণ এই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না।
প্রিয় কলেজ, প্রিয় শিক্ষক এবং প্রিয় বন্ধুরা—সবাইকে বিদায়। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি একজন ফুল টাইম পেশাজীবি এবং পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সার। আমি ৪ বছর যাবত ব্লগিং এর সাথে সড়িত। তাছাড়াও আমি বিভিন্ন সময় বক্তৃতা দিতে পছন্দ করি।